ভর্তি পরীক্ষায় নজরে রাখার মতো বিষয়: কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী আলাদা, না জানলে মিস!

webmaster

Focused Student**

"A bright and determined student, fully clothed in a modest salwar kameez, studying diligently at a wooden desk adorned with books and stationery in a sunlit room, appropriate attire, safe for work, perfect anatomy, natural proportions, family-friendly, high quality."

**

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি এক কঠিন পথ। বিশেষ করে, যখন লক্ষ্য থাকে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চান্স পাওয়া, তখন এই প্রস্তুতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। তোমরা যারা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছ, তাদের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার পদ্ধতি এবং মানবন্টন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা। কারণ, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরনে ভিন্নতা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন একরকম, আবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন অন্যরকম। তাই, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়, সেটা না জেনে প্রস্তুতি নিলে আশানুরূপ ফল পাওয়া কঠিন।আমি যখন নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তখন দেখেছি, বন্ধুরা না বুঝে শুধু মুখস্থ করে গেছে, কিন্তু পরীক্ষার হলে গিয়ে বুঝতে পেরেছে, তাদের প্রস্তুতিটা সঠিক ছিল না। এই ভুলটা তোমরা যাতে না করো, সেজন্য আজ আমরা আলোচনা করব, দেশের প্রথম সারির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ধরণ এবং মানবন্টন নিয়ে। সেই সাথে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখগুলোও জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলো, আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে প্রস্তুতি নিলে सफलता পাওয়া যাবে।ভর্তি পরীক্ষার এই জটিল ধাঁধাটা চলো আমরা একসাথে সমাধান করি। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, যাতে তোমরা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার নিয়ম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে পারো।আসুন, এখন আমরা এই বিষয়ে আরও গভীরে যাই।

পরীক্ষার জন্য সঠিক মানসিক প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন?

নজর - 이미지 1

আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব এবং মানসিক চাপ কমানোর উপায়

ভর্তি পরীক্ষা একটি ম্যারাথনের মতো, যেখানে শারীরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতিও খুব জরুরি। আমি দেখেছি, অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভালো ফল করতে পারে না। তাই, পরীক্ষার আগে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরি। ভাবুন, আপনি যা পড়েছেন, সেটাই যথেষ্ট। আর মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত মেডিটেশন করতে পারেন। দিনে অন্তত ১৫-২০ মিনিট নিজের জন্য সময় বের করুন, যা আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবে।

ইতিবাচক চিন্তা এবং লক্ষ্য নির্ধারণ

সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। মনে রাখবেন, একটি ইতিবাচক চিন্তা আপনার মধ্যে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করতে পারে। নিজের লক্ষ্য স্থির করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন। প্রতিদিনের ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং মানসিক চাপ কমবে। আমি যখন প্রস্তুতি নিতাম, তখন প্রতিদিনের জন্য একটা তালিকা তৈরি করতাম এবং দিনের শেষে দেখতাম, কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করত।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই জরুরি। পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। সেই সাথে, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রচুর ফল ও সবজি খান, যা আপনার শরীরকে সতেজ রাখবে। আমি আমার বন্ধুদের দেখেছি, পরীক্ষার আগে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই, এ বিষয়ে সতর্ক থাকাটা খুব জরুরি।

সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল

রুটিন তৈরি এবং তা অনুসরণ করা

সময় ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সঠিক রুটিন তৈরি করা খুবই জরুরি। রুটিন এমনভাবে তৈরি করুন, যাতে প্রতিটি বিষয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে। সেই সাথে, বিশ্রাম এবং বিনোদনের জন্যও সময় রাখতে হবে। রুটিন তৈরি করার পর তা কঠোরভাবে অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হতে পারে, কিন্তু ধীরে ধীরে এটা অভ্যাসে পরিণত হবে। আমি যখন রুটিন তৈরি করতাম, তখন দিনের শুরুতেই দেখে নিতাম, কোন সময়ে কোন বিষয়টি পড়ব।

প্রতিটি মুহূর্তের সঠিক ব্যবহার

সময়ের মূল্য দেওয়া শিখুন। প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। যখন পড়তে ভালো লাগছে না, তখন অন্য কোনো বিষয় পড়ুন অথবা একটু বিশ্রাম নিন। কিন্তু সময় নষ্ট করবেন না। বাসে বা অন্য কোথাও যাতায়াতের সময়ও বই অথবা লেকচার শীট দেখতে পারেন। আমি দেখেছি, আমার অনেক বন্ধু বাসের মধ্যে বসেও পড়ালেখা করত।

সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার কমানো

বর্তমান যুগে সামাজিক মাধ্যম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার সময় এর ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া উচিত। Facebook, Instagram, Twitter-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়। তাই, চেষ্টা করুন পরীক্ষার আগে সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকতে অথবা এর ব্যবহার সীমিত করতে।

বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির টিপস

বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান

বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান—এই তিনটি বিষয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলায় ভালো করার জন্য ব্যাকরণের ওপর জোর দিতে হবে। সেই সাথে, সাহিত্যিকদের জীবনী এবং তাঁদের বিখ্যাত কাজ সম্পর্কে জানতে হবে। ইংরেজির জন্য ভোকাবুলারি, গ্রামার এবং কম্প্রিহেনশন প্র্যাকটিস করতে হবে। আর সাধারণ জ্ঞানের জন্য সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং সাধারণ বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। নিয়মিত পত্রিকা পড়ুন এবং তথ্য আপডেটেড রাখুন।

বিজ্ঞান এবং গণিত

বিজ্ঞান এবং গণিত বিষয়গুলোতে ভালো করার জন্য বেসিক ধারণাগুলো পরিষ্কার রাখা জরুরি। প্রতিটি সূত্র এবং থিওরি ভালোভাবে বুঝতে হবে। বেশি করে প্র্যাকটিস করলে এই বিষয়গুলোতে ভালো করা সম্ভব। কঠিন সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন। আমি যখন প্রস্তুতি নিতাম, তখন কঠিন অঙ্কগুলো বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে সমাধান করতাম।

বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান

বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করা প্রস্তুতি নেওয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে পরীক্ষার ধরণ এবং মানবন্টন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সেই সাথে, কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, সে সম্পর্কেও একটা আইডিয়া তৈরি হয়। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করার সময়, উত্তরগুলো ব্যাখ্যাসহ জানার চেষ্টা করুন।

পরীক্ষা কেন্দ্রে করণীয়

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সরঞ্জাম

পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে যাওয়ার আগে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সরঞ্জামগুলো গুছিয়ে নিন। অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, কলম, পেন্সিল, স্কেল—এগুলো সাথে রাখতে ভুলবেন না। পরীক্ষার আগের রাতে সবকিছু গুছিয়ে রাখলে সকালে তাড়াহুড়ো করতে হয় না।

সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছানো

পরীক্ষার দিন সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছানো খুবই জরুরি। যানজট অথবা অন্য কোনো কারণে দেরি হতে পারে। তাই, হাতে সময় নিয়ে বের হোন। কেন্দ্রে পৌঁছে নিজের আসন খুঁজে বের করুন এবং শান্তভাবে বসুন।

প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়া

প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর তাড়াহুড়ো না করে ভালোভাবে পড়ুন। প্রতিটি প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে বুঝুন এবং তারপর উত্তর দেওয়া শুরু করুন। কঠিন প্রশ্নগুলো প্রথমে এড়িয়ে যান এবং সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে দিন।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন এবং পদ্ধতি

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরীক্ষার পদ্ধতি মানবন্টন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় MCQ এবং লিখিত MCQ: ৬০ নম্বর, লিখিত: ৪০ নম্বর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় MCQ বিভিন্ন অনুষদে ভিন্ন মানবন্টন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় MCQ MCQ: ৮০ নম্বর, লিখিত: ২০ নম্বর
বুয়েট লিখিত বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষাও এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় এবং জুন মাস পর্যন্ত চলে। বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষা আলাদা সময়ে অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত জুন মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলোও বিভিন্ন অনুষদের জন্য আলাদা সময়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বুয়েট

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়।মনে রাখবেন, এই তারিখগুলো সম্ভাব্য। যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই, নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং পত্রিকায় নজর রাখা জরুরি।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

রিভিশন এবং মডেল টেস্ট

পরীক্ষার আগে শেষ মুহূর্তে রিভিশন দেওয়াটা খুব জরুরি। এতদিন যা পড়েছেন, সেগুলো আরেকবার ঝালিয়ে নিন। সেই সাথে, বেশি করে মডেল টেস্ট দিন। মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং সেগুলো সমাধানের সুযোগ পাবেন।

আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং মনে রাখবেন, আপনি অবশ্যই সফল হবেন। ভয় পাবেন না এবং শান্ত থাকুন।এই টিপসগুলো অনুসরণ করে তোমরা অবশ্যই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। তোমাদের জন্য শুভকামনা রইল।

শেষ কথা

আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে। আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষা দাও এবং নিজের সেরাটা দাও। তোমাদের সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। তোমরা সফল হবেই, এই বিশ্বাস রাখো।

দরকারী কিছু তথ্য

১. পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

২. পরীক্ষার হলে সময় মতো পৌঁছানোর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন।

৩. পরীক্ষার সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিন।

৪. কঠিন প্রশ্নগুলো এড়িয়ে গিয়ে প্রথমে সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।

৫. নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করুন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সারসংক্ষেপ

আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক মানসিক প্রস্তুতি পরীক্ষার জন্য খুবই জরুরি। সময় ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সঠিক রুটিন তৈরি করুন এবং তা অনুসরণ করুন। প্রতিটি বিষয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন এবং সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার কমান। পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান এবং পরীক্ষার হলে সময় মতো পৌঁছান। প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়ে উত্তর দিন এবং আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন কেমন?

উ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ইউনিট ভেদে ভিন্ন হয়। সাধারণত, MCQ এবং লিখিত উভয় অংশের উপর পরীক্ষা হয়ে থাকে। MCQ-এর জন্য ৬০ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। তবে, এই মানবন্টন পরিবর্তন হতে পারে, তাই ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। আমি যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তখন MCQ-এর উপর বেশি জোর দেওয়া হতো, কিন্তু এখন লিখিত পরীক্ষার গুরুত্বও বেড়েছে।

প্র: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে প্রস্তুতি নিলে ভালো ফল করা যায়?

উ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল করার জন্য বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান যেমন দরকার, তেমনি সাধারণ জ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কেও ভালো ধারণা রাখতে হয়। বিশেষ করে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। আমি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছিলাম, সে নাকি শুধু বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করেই চান্স পেয়েছিলো। তাই, বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করা খুবই জরুরি।

প্র: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ কবে নাগাদ হতে পারে?

উ: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে, সাধারণত প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস নাগাদ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। আমার মনে হয়, তোমরা নিয়মিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং শিক্ষা বিষয়ক পত্রিকাগুলোতে নজর রাখতে পারো। তাহলে সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে জানতে পারবে। আর হ্যাঁ, তারিখ ঘোষণার পর পরই কিন্তু প্রস্তুতি শুরু করে দিও না, বরং আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকো।